জনজীবন ডেস্ক—
জয়পুরহাটের খেজুরতলী গ্রাম এখন এখন স্ট্রবেরি ভিলেজ (পাড়া) মাটি ও আবহাওয়া উপযোগি হওয়ায় জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদেশি ফল স্ট্রবেরি চাষ। অধিক ঔষধি গুণাগুণ ও খাদ্য সমৃদ্ধ ফল স্ট্রবেরি। কম খরচ আর লাভজনক হাওয়াই স্ট্রবেরি চাষে ঝুকছে এখানকার কৃষকসহ শিক্ষিত বেকার যুবকেরা । এবারে জেলার প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি স্ট্রবেরি চাষ সম্প্রসারনে কৃষকদের প্রণোদনাসহ উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন। এখানকার স্ট্রবেরী ফল খুব মিষ্টি, ও সুস্বাদু , কারন মাটি ভালো জাতের হওয়ায় স্ট্রবেরী ফলনও বেশী ্ সবচেয়ে বড় কথা স্ট্রবেরী বাজার ধরতে পেরেছে । আগে প্রথম যখন চাষ হকরছিল অনেকে শখের বশে তখন বিক্রির জায়গা ছিলনা। এখন ঢাকা , চট্রগ্রাম , খুলনা, সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাবসায়ীরা ক্রয় কওে নিয়ে যাচ্ছে।
২০১১ সালে ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন ইংল্যান্ড থেকে ফেস্টিভ্যাল হাইব্রিড জাতের স্ট্রবেরি এনে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন। সে থেকে জয়পুরহাট জামালপুর ইউনিয়নের খেজুরতলী গ্রামে নিজ উদ্যোগে স্ট্রবেরি চাষ করছেন কৃষকরা। গড়ে তুলেছেন স্ট্রবেরি ভিলেজ। তাই এ গ্রামটির নাম এখন স্ট্রবেরি পাড়া। এ ইউনিয়নের যেদিকেই তাকাবেন দেখা মিলবে মাঠের পর মাঠ জাল বিছানো, আর জালের ভিতরে ঢুকলে দেখা মিলবে থোকায় থোকায় লাল টুকটেকি স্ট্রবেরি। কৃষকের সফলতা দেখে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে এই চাষে। স্ট্রবেরি উত্তোলনের শুরুর দিকে ১হাজার থেকে ১২শত টাকা আর শেষের দিকে ১শত ৫০ থেকে ২শত ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়ে থাকে। অন্য ফসলের চেয়েও অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন স্ট্রবেরি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারণেই জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে ঢাকাসহসারাদেশে
জয়পুরহাট খামারবাডী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের, উপ-পরিচালক, কৃষিবিদশহিদুলইসলাম,
জানালেন
বর্তমানে এ অঞ্চলে-ফেস্টিভ্যাল হাইব্রিড, রাবি-৩ ও কামারশা এই তিন জাতের স্ট্রবেরির চাষ হচ্ছে। জয়পুরহাটের স্ট্রবেরি এক দিন দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বললেন এ কর্মকর্তা। স্ট্রবেরী শুধু খেজুরতলী নয় জামালগন্জ আক্কেলপুর ও পাঁচবিতেও চাষ হচ্ছে।
এবারে জেলার প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে, আগামীতে এই চাষ আরও দ্বিগুন হবে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। । প্রতি বিঘা খরচ হয় ৮০-৯০ হাজার টাকা আর সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪-৫ লাখ টাকা।
Leave a Reply