1. kabir28journal@yahoo.com : Abubakar Siddik : Abubakar Siddik
  2. kabir.news@gmail.com : Kabir :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

মনে পড়ে সেই নায়িকা -গায়িকাকে?

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট টাইম: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২০ ০০০ জন পড়েছে।

বিনোদন ডেস্ক—-

 
মনে পড়ে সেই নায়িকা -গায়িকাকে?
অনন্তলোকের পথে যাত্রা করেছিলেন তিনি, সেই ২০০৪ সালে। তার পর কেটে গেল কুড়িটি বছর। তাঁর মৃত্যুতে শেষ হয়ে গিয়েছিল হিন্দি সিনেমার নায়িকা -গায়িকার একটা যুগ। ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে মারা যাওয়ার সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সেই নায়িকা -গায়িকা জন্মেছিলেন ১৯২৯ সালে, অবিভক্ত ভারতের লাহোরে। নূরজাহানও ছিলেন তাঁর সমসাময়িক যুগের আর এক নায়িকা -গায়িকা। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগাভাগির পর নূরজাহান পাকিস্তানে চলে গেলেও, সেই নায়িকা – গায়িকা রয়ে গিয়েছিলেন ভারতে।
তাঁর হিন্দি ছবিতে গান গাইবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সুরকার নৌশাদ আলী। সেই সময়ে মেহতাব -এর মতো নায়িকার কন্ঠে গান গেয়েছিলেন তিনি। ছবিটি ছিল ‘শারদা’, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৪২ সালে। তিনি বলেছিলেন, একটা তেরো বছরের বাচ্চা মেয়ে কী গান গাইবে। পরে তিনি সেই মেয়েটির গান শুনে ভীষণ খুশি হন। সেই শারদা ছবি থেকেই সোহরাব মোদি, মেহতাব, নৌশাদ আলী আর সেই মেয়েটির মধ্যে একটা ভীষণ ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা বহুদিন পর্যন্ত ছিল অটুট। এর পর নৌশাদ আলী গান গাইয়ে ছিলেন ১৯৪৬ সালে আনমোল ঘড়ি, ১৯৪৭ সালে দর্দ, নাটক, ১৯৪৯ সালে দিল্লাগি, ১৯৫০ সালে দস্তান, ১৯৫২ সালে দিওয়ানা ছবিতে তাঁকে দিয়ে। এ ছাড়াও ওই সময়টা ছিল সেই মেয়েটির কেরিয়ারের সেরা সময়কাল। নৌশাদের সঙ্গে ছিল তাঁর দারুণ সম্পর্ক।
সেই মেয়েটি মারা যাওয়ার আগে বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, সেটা কেউ জানতেন না। দুঃখের কথা, তাঁর মৃত্যুর সময় কেউ পাশে ছিলেন না। এ রকম ঘটনা ঘটা খুবই বিরল, তবে অসম্ভবও নয়। আমি ওঁকে একবারই দেখেছিলাম, তখন আমার বয়স উনত্রিশ, আর তাঁর একান্ন বছর। আমি বলেছিলাম, ‘আপনি যদি আমার বোন হতেন?’ কথাটা শুনে সেই মেয়েটি সেদিন হাসতে হাসতে হিন্দি ভাষাতে যা বলেছিলেন, তা বাংলা ভাষায় হল, ‘সবাই আমাকে প্রিয়তমা ভাবে, সারাটা জীবন তাই তো দেখলাম। আমি তোমার বোন হবো, এ রকম প্রস্তাব আজ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে পেলাম না। আসলেই তুমি আমাকে অনুভব করতে পেরেছ। সত্যি সত্যিই যদি আমার একটা ভাই থাকত।’
একবার নৌশাদ সেই মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি কি আমাকে দেখে হাসেন?’ মেয়েটি নৌশাদকে বলেছিলেন, ‘না, কখনওই না। আমি তোমাকে দেখে হাসব কেন? আমি হাসি এটা বোঝাতে যে, আমি কত সুখী।’
মেয়েটি শেষ বয়সে মোটা হয়ে গেলেও, সুন্দরী ছিলেন ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকেও। মুম্বাইয়ের এক ইংরেজি পত্রিকা সেই মেয়েটিকে দিয়েছিল ‘সারা জীবনের কাজের জন্য পুরস্কার।’ ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে এক অনুষ্ঠানে যখন কিছু শ্রোতা লাগামছুট ভাবে ‘দেব আনন্দ’ ‘দেব আনন্দ’ বলে কটাক্ষ করছিলেন মেয়েটিকে, তিনি রেগে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আসলটা যখন আছে, তখন নকলটাকে টানাটানি করে কি লাভ।’
শেষ বয়সে তিনি ডুবে থাকতেন হতাশার অন্ধকারে। বহু বছর ধরে সারাক্ষণ শোওয়া, বইপড়া, খাওয়া, রেকর্ড প্লেয়ার শোনা ছাড়া আর কোনো কাজই ছিল না তাঁর। এমনকি ফোন এলেও তিনি নিজে গিয়ে ধরতেন না। শেষ জীবন পর্যন্ত নিঃসঙ্গ জীবনে এই রাজকীয় ঠাটবাট সমানে বজায় রেখে গেছেন তিনি।
তাঁর ছিল অঢেল সম্পত্তি। মেয়েটির কোনও উত্তরাধিকারী ছিল না। মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভের কৃষ্ণা মহলের সকল অ্যাপার্টমেন্ট ছিল তাঁরই। লোনাভোলায় ছিল তাঁর প্রাসাদোপম বাংলো বাড়ি ও ফলের বাগান। ওঁর ছিল অসংখ্য গয়না, যার দাম কয়েক কোটি টাকার ওপরে। ওঁর কেউ নেই তাই নৌশাদ আলী মেয়েটিকে বলেছিলেন, আঞ্জুমান -ই ইসলাম ট্রাস্টে সকল সম্পত্তি লিখে দিতে। মেয়েটি রাজি হয়েছিল। পরে তা আর হয়েও হয়নি।
১৯৪০ এর দশকে সেই মেয়েটির নায়িকা -গায়িকা জীবনের উত্থান এবং সাফল্য খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিন্তু তার মধ্যেই তাঁর খ্যাতি এবং পারিশ্রমিক ছাড়িয়ে গিয়েছিল অনেককেই। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে একই সঙ্গে যে দুঃখ আর নিঃসঙ্গতা শুরু হয়েছিল ১৯৫০ এর দশকে, বাকি পঞ্চাশটা বছর সেগুলোকে নিয়েই কাটিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জীবনে আপন কাউকে পেলেন না যিনি, মৃত্যুর পর সেই মেয়েটির আপনজন হিসেবে নিজেকে জাহির করার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী লোভী মানুষের মধ্যে। ওরঁ মৃত্যুর পর মানবতা আর স্বার্থের চিরন্তন লড়াইয়ের নতুন আর এক নগ্ন নিদর্শন শুনে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে সেদিন অবাক হয়েছিলাম। অবাক হব না কেন, আমিই একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ যে তাঁকে একবার কাছ থেকে দেখেছিলাম। আজও মনে হয়, সে আমারই বোন, নিশ্চয়ই আমি আশাবাদি, ওপারে তাঁর সঙ্গে দেখা হবেই হবে। সে আমার বোন, আমি যে তাঁর ছোট ভাই।
মনে পড়ে সেই মেয়েটিকে? সে তো আমার বোন।
সেই ১৯৪০ এবং ১৯৫০ এর দশকে সেই মেয়েটি অর্থাৎ আমার বোনের বাড়ির নাম কৃষ্ণা মহল। ভক্তদের ভিড়ে বাড়ির সামনে ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যেত। পুলিশ বিশেষ পাহারা বসাত দিনেরাতে। উনি বাড়িতে ঢোকা বেরোনোর সময় এক ঝলক দেখার জন্যই ছিল এই বিপুল জনতা। উনি তো কেবল গায়িকা নন, নায়িকাও। তখন এত ফিল্ম ম্যাগাজিন ছিল না, বিজ্ঞাপনের জন্য বড় বড় হেডিংও থাকত না। ফিল্মস্টারদের চট করে দেখা যেত না প্রকাশ্যে। সেই মেয়েটিকে যারা দেখতে পেত, তাদের জীবন যেন সার্থক হতো।
সেই মেয়েটির ছিল বিচিত্র ভক্ত। সেই সময়ে এত মানুষের ভিড়ে একজনকে কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টাই দেখা যেত। তিনি তপস্যারত। সেই মেয়েটি তখন থাকতেন এক তলায়। সেই লোকটি মেয়েটির ফ্ল্যাটের জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতেন স্বপ্নের নায়িকার দেখা পাবার আশায়। তা হত না। মেয়েটির ঘর ছিল পিছনের দিকে। লোকটির আত্মীয়রা এই পাগলামি ছাড়াবার চেষ্টা করেন অনেক। কিন্তু তিনি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান।
মেয়েটি একবার এক চিত্র সাংবাদিককে বলেছিলেন, ‘ওর জন্য দুঃখ হত। জানালার পার্টিশনের ভিতর দিয়ে তার দিকে তাকিয়েছি। ঠাকুরমাকে একবার বলেছিলাম, লোকটিকে বাড়িতে ডেকে এনে বোঝাই। ঠাকুমা আঁতকে উঠে বললেন, ‘তারপর যদি না বেরোয় বাড়ি থেকে? লোকটা হয়তো পাগল।’
আবার ওই লোকটাকে দেখবার জন্য জনতার ভিড় জমত। তা থেকে ট্রাফিক -জ্যাম। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে কী কারণে? স্রেফ তো বসেই আছে সে। তার পুলিশের প্রতি উপদেশ ছিল, ‘আমি বসে আছি। আপনারা ভিড় সামলান।’
দিন কেটে গেছে। আর সে লোকটি নেই। জনতাও নেই।
একবার নাকি এক প্রেমিক ভক্ত পুরো ট্রেন ভাড়া করে বর সেজে এসেছিলেন, সঙ্গে বরযাত্রীরাও। উদ্দেশ্য, তাঁকে বিয়ে করতেই হবে। সেই বর এসেছিলেন লাহোর থেকে। বোম্বে রেলস্টেশনে নেমে ব্যান্ড বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে বর সেজে এসেছিল ওকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু কৃষ্ণামহলের সামনে আসতেই পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
সেই মেয়েটির ছবি রিলিজ হতেই ভক্তরা তাঁর ছবি বুকে লাগিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করত। অনেক ভক্ত সঙ্গে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে ছবিঘরে প্রবেশ করার সময় তাঁর নাম তুলে স্লোগান দিত। সেই মেয়েটি কোনদিন স্কুলে পড়েনি। ফিল্ম লাইনে থাকাকালীন সময়ে ভক্তদের কাছ থেকে এত চিঠি পেতেন যে, এ জন্য আলাদা একজন পোস্টম্যান রাখা হয়েছিল। ১৯৬০ এর দশকে আমিও তাঁকে চিঠি লিখেছিলাম। তাঁকে প্রেমপত্র লিখেছে লাখ লাখ ভক্ত। এক যুবক তো দিনে দু’বার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ডাকে প্রেমপত্র লিখত। একবার যুবকটি ওর ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েছিল। যুবকটির বায়না ছিল, সে তাঁকে বিয়ে করবেই। এ নিয়ে কত হৈচৈ রৈরৈ, কত তামাশা।
তাঁর যুগে তাঁর এতই জনপ্রিয়তা ছিল যে, তিনি স্টুডিও আর বাড়ি ছাড়া আর কোথাও বেরোতে পারতেন না। তাঁর একটি নয়, পাঁচ -সাতটি গাড়ি ছিল। কিন্তু মুম্বাইয়ের বেশির ভাগ মানুষই তাঁর গাড়ির নম্বর জানত। সুতরাং তিনি যতই পোশাক -আশাক বদলে নিজকে আড়াল করে বেরোতেন কিন্তু লাভ হতো না। সকলেই তাঁকে চিনে ফেলত। বোরখা পরে বেরোলেও ধরা পড়ে যেতেন। মা, ঠাকুমা, ড্রাইভার, স্টুডিও, হেয়ার ড্রেসার, মেকআপ ম্যান, কাজের লোকজন, সেক্রেটারি সবাই তাঁকে এমনভাবে সব সময় ঘিরে রাখত যে নিজের খুশিমতো চলাফেরা করা একেবারেই হত না।
কোথায় গেল সেই দিন?
এ সব কাহিনি এখন তো মেঘে ঢাকা তারার মতো হয়ে থাকল।
সুরাইয়ার জন্ম ১৯২৯ সালের ১৫ জুন পাঞ্জাবের লাহোরে। সুরাইয়ার পুরো নাম – ‘সুরাইয়া জামাল
শেখ’। সুরাইয়ার মায়ের নাম মালেকা বেগম। মামার নাম – জহুর রাজা। সুরাইয়ার নানীর নাম বাদশা বেগম।
সুরাইয়া অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো –
১৯৩৬ সালে – ম্যাডাম ফ্যাশন ; ১৯৩৭ সালে – উসনে কেয়া সোচা। ১৯৪১ সালে – তাজমহল। ১৯৪২ সালে –
তামান্না। সারদা। ষ্টেশন মাষ্টার। ১৯৪৩ সালে – কানুন। সংযোগ। ইশারা। হামারিবাত। এতিম। ১৯৪৫ সালে – তদবির। সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত। ফুল। ম্যায় কিয়া করু।
১৯৪৬ সালে – শ্যামা। ১৮৫৭। আনমোল ঘড়ি। ওমর খৈয়াম। পরোয়ানা। নাটক। ১৯৪৭ সালে – দো দিল। দর্দ। ডাকবাংলো। আজ কি রাত। বিদ্যা। শক্তি।
১৯৪৮ সালে – রংমহল। পেয়ার কি জিৎ। কাজল। গুজরে। সিঙ্গার। শায়ার। নাচ। লেখ।। জিৎ।
১৯৪৯ সালে – দুনিয়া। দিল্লাগি। চারদিন। বালাম। বড়ি বহেন। অমর কাহানী। সান। নিলী। খিলাদি।
১৯৫০ সালে – কমল কে ফুল। দাস্তান। আফসার। সোখিয়া। ১৯৫১ সালে – সনম। রাজপুত। দো সিতারে। রেশম। মতিমহল। লাল কানওয়ার। ১৯৫২ সালে – খুব সুরাৎ। গুঞ্জ। দিওয়ানা। ১৯৫৩ সালে – মাশুকা। মির্জা গালিব। ১৯৫৪ সালে – বিল্বমঙ্গল। ওয়ারিস। শামা পরোয়ানা। কাঞ্চন। ১৯৫৫ সালে – ঈমান। ১৯৫৬ সালে – মিঃ লাম্বু। ট্রলি ড্রাইভার। ১৯৫৮ সালে – মিস ১৯৫৮। মালিক। ১৯৬১ সালে – শামা। ১৯৬৩ সালে – রুস্তম সোহরাব।
সুরাইয়ার প্রিয় অভিনেতা ছিলেন – গ্রেগরী পেক।
যাকে ভালোবেসেছিলেন – দেব আনন্দ। তাঁকে পাননি বলে চিরকুমারী জীবন কাটিয়েছিলেন।
সুরাইয়ার গীতগানের সংখ্যা – পাঁচ হাজার।
যারা ছিলেন সুরাইয়ার নায়ক – সুরেন্দ্র, কুন্দনলাল সায়গল, মতিলাল, তালাত মাহমুদ, রেহমান, মুকেশ,
জয়রাজ, দেব আনন্দ, রাজকাপুর, শাম্মী কাপুর,
করণ দেওয়ান, মুকেশ, প্রেমনাথ, ওয়াস্তি, ভারত ভূষণ প্রমুখ।
সুরাইয়া আমার জীবনে এক অধ্যায় – শৈশবে সুরাইয়া অভিনীত – দিল্লাগি, সনম, জিৎ, আফসার, বিদ্যা, আনমোল ঘড়ি, মির্জা গালিব ছবি দেখে তাঁকেই শুধু যে ভেবেছি স্বপ্নকন্যা, রাজকন্যা। ২৯ কি ৩০ বয়সে ১৯৮০ সালে সুরাইয়াকে সরাসরি দেখবো বলে বম্বেতে (মুম্বাই) প্রথম গেলাম।
কৃষ্ণা মহলে সুরাইয়ার ফ্লাটে আসতেই পরিচারিকা দরজা খুলে বসতে দিলেন।
মিনিট দশেক পর এলেন সুরাইয়া। তাঁর বয়স তখন ৫০ কি ৫১ হলেও আমার কাছে অপরূপ সুন্দরি মনে হলো। উঁনি হাসলেন আমার পানে তাকিয়ে। সুরাইয়া যা হিন্দিতে বললেন তার বাংলা হলো –
‘ফিল্ম লাইন ছেড়ে দিলাম ১৯৬৪ সালে। আজ এই বয়সে ঘুম থেকে উঠি অপরাহ্নে। ব্যালকনিতে বসে কখনও আরব সাগরকে দেখি । কুমারীজীবন কাটাচ্ছি। বেশ সুখেই
আছি।’
সুরাইয়া হাসতে হাসতে, ‘বাঙলা থেকে আমায় দেখতে এসেছো তুমি না জানি কত সৌখিন কত না রোমান্টিক।’
এও দেখেছিলাম, সুরাইয়ার গলার চারপাশে ঘিরে ছিলো সোনার অলংকার। সুরাইয়াকে দেখার সেই স্মৃতি আজও মন থেকে মুছে যায় নি। একদা উঁনিইতো গেয়েছিলেন, ‘মুড়লিওয়ালে মুড়লি বাজা শোনো শোনো মুড়লিকো নাচে দিয়া’।
সুরাইয়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের পত্র পত্রিকায় তখন কত কথা লিখলাম। তাঁর জন্য আজও আমার অনুশোচনা জাগে। আহা অমন নায়িকাকে কাছ থেকে দেখা জীবনে এক স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকল।
মনে হয়, ‘সুরাইয়া’ নামটি আমার জীবনে এক অধ্যায় হয়ে রইল।
লিয়াকত হোসেন খোকন
Leaquat Hossain Khokon.
 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ