1. kabir28journal@yahoo.com : Abubakar Siddik : Abubakar Siddik
  2. kabir.news@gmail.com : Kabir :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জয়পুরহাট জেলা সার্কিট হাউজের সামনে র্ ২ টি ৭ তলা বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধের জন্য প্রশাসক বরাবরআবেদন- জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টির মত পোষা দল হতে আসিনি,শাপলা প্রতীক না পেলে আইনিভাবে লড়াই করবো, রাজনৈতিকভাবে রাজপথে লড়বো। জয়পুরহাটে সার্জিস আলম  ক্ষেতলাল উপজেলার হাটশহর, বাখরা, মুনঝাড়,  কলিঙ্গা, ঘুগোইল, কুসুমশহর, আটিদাশড়া, কোনিয়াপাড়া গ্রামের মাঠগুলোতে যে দিক্ই চোখ মেলেন শুধু করলার চাষ। জয়পুরহাটে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন অনুষ্টিত জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু  ক্যাম্পের আয়োজন জয়পুরহাটে বাজারে মাছ, গরু খাশির মাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়পুরহাট পৌরসভার  প্রসাশক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহা: সবুর আলীকে  বিদায় সংবর্ধনা জানান জয়পুরহাট পৌরসভা  জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণ মিছিল  পিয়ার পদ্ধতি সহ পাঁচ দফা দাবিতে জয়পুরহাটে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত -জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ১০ অক্টোবর ২০২৫আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিয়ার পদ্ধতি ও জুলাই সনদ সহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জয়পুরহাটে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জয়পুরহাট হাসপাতালে তিন দিনে ৩২২ ডায়রিয়া রোগী

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০৩ ০০০ জন পড়েছে।


জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ৭ অক্টোবর ,২৫
হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। গত তিন দিনে ৩২২ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাদের মধ্যে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশ’র বাড়ি জয়পুরহাট পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনদের দাবি পৌরসভার সরবরাহ করা পানির কারণে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়। আর পুজা উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মেলায় খোলা খাবার পরিবেশনকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, হঠাৎ করে গত শনিবার জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৩৮ জন রোগী ভর্তি হন। পরেরদিন রবিবার ভর্তি হন ১০১ জন এবং একইভাবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি হন ৮৩ জন। ডায়রিয়া রোগর এমন চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকও নার্সদের। তবে গত দুদিনের তুলনায় সোমবার থেকে রোগীর চাপ কমতে শুরু করেছে। চিকিৎসা পেয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে হাসপাতালের তিন তলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে,পুরো ওয়ার্ড জুড়েই ভর্তি আছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। এ ছাড়া জায়গা না হওয়ায় ওয়ার্ডের বাহিরের করিডোরের মেঝেতেও ভর্তি হওয়া রোগীদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী জয়পুরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ধানমন্ডি মহল্লার বাসিন্দা জেসমিন আক্তারের (৬০) স্বামী নুর মোহাম্মদের সাথে। তিনি বলেন,গত শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে স্ত্রী কে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার বমি ও পাতলা পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। এসে দেখি পুরো হাসপাতাল জুড়ে শুধু ডায়রিয়ার রোগী। তিন দিন ধরে ডাক্তাররা চিকিৎসা দিচ্ছেন,কিন্তু কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। পাশের শয্যায় ভর্তি থাকা একই মহল্লার ডায়রিয়া রোগী গোপাল প্রসাদ আগরওয়ালা জানান,রবিবার থেকে তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। বমি বন্ধ হলেও পায়খানা বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন,ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অধিকাংশ রোগীই জয়পুরহাট পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাহিরের রোগীও আছে তবে পরিমাণে কম। তার ধারণা পৌরসভা থেকে সরবরাহ করা পানি পান করে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে ধানমন্ডি মহল্লার মরিয়ম বেগম বলেন,পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান না করেও তার তিনজন স্বজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পাঁচবিবির আয়মা গোপীনাথপুর থেকে আসা নুর ইসলাম বলেন, গত তিন দিন আগে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পর তার পিতা আব্দুর রউফ (৭০) ও  দুই ভাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বার বার স্যালাইন দিয়েও ভালো হচ্ছে না। পুজার মেলার মিঠাই মিষ্টান্ন খাওয়ার পর  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল দশটার দিকে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের পারভিন আক্তার (৩০) বলে জানিয়েছেন তার মা। বলেন, সেই থেকে চিকিৎসা চললেও পায়খানা ও বমি বন্ধ হচ্ছে না। তার কিডনির সমস্যাও আছে। এ অবস্থায় মেয়ে পারভিনকে সুস্থ্য করা নিয়ে তিনি মহা দুশ্চিন্তায় আছেন।

হাসপাতালের সহকারী চিকিৎসক মো: হারিছ বলেন,গত তিন দিন থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ রোগী ভর্তি হয়েছে জয়পুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লার। পৌরসভার পানির কারণে ডায়রিয়া রোগ হতে পারে। পানি পরীক্ষা করলেই বিষয়টি জানা যাবে।

জয়পুরহাট পৌরসভার সেনেট্যারী ইন্সপেক্টর মামুনুর রশীদ বলেন,পৌরসভার পানির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে এমন অভিযোগের পর আক্রান্ত এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে বগুড়ায় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় পানির কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া পানির কারণে ডায়রিয়া হলে গোটা পৌরসভার বাসিন্দারা আক্রান্ত হতেন। কাজেই অভিযোগটি সঠিক নয়।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সরদার রাশেদ মোবারক বলেন,গত তিন থেকেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেশি। তবে বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন,পুজা উৎসবকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মেলায় উন্মুক্ত খাবারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে তারা ধারণা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ