জয়পুরহাট প্রতিনিধি,
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক আসামির নিকট থেকে উদ্ধার করা আইফোন–১৬ প্রোম্যাক্স ও স্যামসাং এস–২৫ আল্ট্রা মডেলের দুটি মূল্যবান মোবাইল ফোন জব্দতালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত আদেশে বলেন, “ফৌজদারী কার্যবিধির ৫১ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নিকট হতে প্রাপ্ত সব মালামাল জব্দতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। কিন্তু জব্দকারী কর্মকর্তা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা তা করেননি। এতে প্রতীয়মান হয়, তাঁরা অসৎ উদ্দেশ্যে মূল্যবান দুটি ফোন জব্দতালিকা থেকে
বাদ দিয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী আদালত–২, পাঁচবিবি) মো. সোহেল রানা এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আক্কেলপুর থানার মামলা নং–০২, তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, পেনাল কোডের ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হন আসামি মো. কামাল গাজী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আদালতকে জানান, গ্রেফতারের সময় তাঁর নিকট চারটি মোবাইল ফোন ছিল—আইফোন–১৬ প্রোম্যাক্স, স্যামসাং এস–২৫ আল্ট্রা, ভিভো এক্স–২০০ ও আইটেল টর্চ ফোন। তবে জব্দতালিকায় কেবল প্রিমিও ও স্যাম্পনি ব্র্যান্ডের দুইটি ফোন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, অথচ মূল্যবান দুটি ফোন (আইফোন ও স্যামসাং) তালিকায় নেই।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, আইফোন–১৬ প্রোম্যাক্স ও স্যামসাং এস–২৫ আল্ট্রা ফোন দুটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। এ ঘটনায় জব্দকারী কর্মকর্তা ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে আদালত আইফোন ও স্যামসাং ফোন দুটি আত্মসাৎ করা হয়েছে কিনা তা তদন্তের জন্য বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশের অনুলিপি মাননীয় সিনিয়র দায়রা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জয়পুরহাটের নিকটও পাঠানো হয়েছে।
জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরির্দশক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আসামি কামাল গাজীর কাছে যে চার ফোন পাওয়া গেছে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
কামাল গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৪ টি মামলা রয়েছে। আদালতের আদেশের কথা জানেন বলে এস আই আমিনুল সাংবাদিক কে জানিয়েছেন।
Leave a Reply