1. kabir28journal@yahoo.com : Abubakar Siddik : Abubakar Siddik
  2. kabir.news@gmail.com : Kabir :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জয়পুরহাট জেলা সার্কিট হাউজের সামনে র্ ২ টি ৭ তলা বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধের জন্য প্রশাসক বরাবরআবেদন- জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টির মত পোষা দল হতে আসিনি,শাপলা প্রতীক না পেলে আইনিভাবে লড়াই করবো, রাজনৈতিকভাবে রাজপথে লড়বো। জয়পুরহাটে সার্জিস আলম  ক্ষেতলাল উপজেলার হাটশহর, বাখরা, মুনঝাড়,  কলিঙ্গা, ঘুগোইল, কুসুমশহর, আটিদাশড়া, কোনিয়াপাড়া গ্রামের মাঠগুলোতে যে দিক্ই চোখ মেলেন শুধু করলার চাষ। জয়পুরহাটে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন অনুষ্টিত জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু  ক্যাম্পের আয়োজন জয়পুরহাটে বাজারে মাছ, গরু খাশির মাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়পুরহাট পৌরসভার  প্রসাশক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহা: সবুর আলীকে  বিদায় সংবর্ধনা জানান জয়পুরহাট পৌরসভা  জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণ মিছিল  পিয়ার পদ্ধতি সহ পাঁচ দফা দাবিতে জয়পুরহাটে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত -জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ১০ অক্টোবর ২০২৫আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিয়ার পদ্ধতি ও জুলাই সনদ সহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জয়পুরহাটে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

(জুলাই জাগরণ)জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল, হামলা-ভাংচুর, ২ জন নিহত,সংসদ সদস্যসহ আহত হয় শতাধিক ।

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১১১ ০০০ জন পড়েছে।

জনজীবন ডেস্ক—
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। মিছিল থেকে জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও র্ছরা গুলি ছোড়ে। আন্দোলনের সময় গুলিতে নজিবুল সরকার বিশাল (১৯) নামে একজন নিহত হয়। আন্দোলনকারী ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়।
সেদিনটি ছিল রবিবার। সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা শহরের নতুনহাট এলাকায় একত্রিত হয়। এছাড়া অপর একটি গ্রæপ শহরের রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও এর বিভিন্ন পার্শ্বে একত্রিত হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ও আন্দোলনকারীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাটার মোড়ে আসে। সেখানে আগে থেকেই একত্রিত হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের মিছিলের সাথে যোগ দেয়। বাটার মোড় থেকে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা যৌথভাবে মিছিল নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পাঁচুর মোড়ে আসে। এ সময় বৈরাগীর মোড় রোডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে রেল লাইনের উপরে অবস্থিত জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনেক নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিল। আন্দোলনকারীরা আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এদিকে আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক কথাবার্তা বললে আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর আন্দোলনকারীরা রেলগেট অতিক্রম করে একদল রেল লাইন ধরে ও অন্যদল কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছন দিয়ে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ অন্ততঃ ১০ থেকে ১৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে এবং তাতে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা ৫টির মত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর কিছু পরে আন্দোলনকারীরা রেলস্টেশনের উত্তর পার্শ্বে থাকা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, র্ছরা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় আন্দোলনকারী ও আওয়ামীলীগের অন্ততঃ শতাধিক আহত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে পরে। পুরো শহর যেন আতংকের ও ভুতুরে নগরীতে পরিনত হয়। সন্ধার দিকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে থেকে জানা যায় বেলা ২টা পর্যন্ত ৬৮ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এস এম গালিব আনোয়ার জানায়, দুপুর ১২টার পর থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও ৬৫ জন আহত। আহতদের মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা ও বিক্ষোভকারীরা আছে। আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ নজিবুল সরকার বিশালসহ অপর ১ জনকে হাসপাতাল থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বগুড়া যাওয়ার পথে কালাইয়ে পৌছানোর পর বিশালের অবস্থা অবনতি হলে তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজনীন নাহার ডেইজি বিশালকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
বিশালের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা। পরে জয়পুরহাট সদর থানা কার্যালয় ঘেরাও করতে যায় বিক্ষোভকারীরা। থানা ঘেরাও করতে গেলে আরও কয়েকজন আহত হয়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রæপে আন্দোলনকারীরা এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। শহরের দোকানপাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সারাদিন সব বন্ধ থাকে। পুরো শহরে কোন সাধারণ জনসাধারণ ছিলনা। এক কথায় পুরো শহর ভুতুরে পল্লীতে পরিনত হয়।
জেলা ছাত্রদও , জেলা যুবদল , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র দল সকলে মিলে এক বিরাট মিছির শহর প্রদক্ষিন করে।
৫ ই আগষ্ট সেদিন ছিল সোমবার বিশালের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
সকল ছাত্র জনতা আজ একাকার হয়ে খুনি হাসিনার পতন চায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা। পরে জয়পুরহাট সদর থানা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা। থানায় আগুন লাগিয়ে দিলে পুলিশ টিআর শেল ও গুলি চালায়
গুলিতে মেহেদী হাসান শহীদ হয়। পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পালিয়ে জীবন বাঁচায়।এরপর হুইপ আবু সাঈদ আলমাহমুদ স্বপনের হযরতের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় । ব্যাপক ভাংচুর শুরু করলে জানা যায় শেখ হাছিনা পালিয়ে গেছে । তারপর শুরু হয় বিজয় মিছিলযেন মিছিল নয় জনসমুদ্র। বাড়ীতে বাড়ীতে আনন্দেও ফোয়ারা মিষ্টি বিতরন এদএ এক অভাবিনীয় দৃশ্য।

এই আন্দোলনে মুল নেতৃত্বে ছিল  জয়পুরহাট জেলা যুবদলের মোকতাদুল হক আদনান ও বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র হাসিব সানজিদ । এছাড়াও অনেক নেতা ছিল যাদের  অবদান ভোলার কথা নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ