শীতের কুয়াশা ভেজাভোরের আগে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে খেজুর গাছ থেকে মাটির ভার ও বোতল বা পাত্র থেকে রস সংগ্রহ করছেন গাছিরা। এরপরেই সেই রস টিনের বড় তাওয়ায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করা হচ্ছে। এখানকার গুড়ের মান ভাল হওয়ায় দূরদূরান্ত কিনতে আসছেন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে কাচা খেজুরের রসে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এজন্য রস ফুটিয়ে বা গুড় করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের জয়পুরহাট সিভিল সার্জন,ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন, |
উত্তরের ভারত সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাট। এ জেলায় শীত কোন সময় তীব্র, কোন সময় কম উঠানামা করছে। কখনো ঘন কুয়াশা আর হালকা হিমেল বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। এদিকে প্রতিবছরের মত এবারেও শীতের আমেজে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫ শ গাছি এ জেলায় এসেছেন প্রায় ১৫ হাজার খেজুর গাছ ভাড়া নিয়ে রস সংগ্রহ করে তৈরি করছেন সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গভীর রাত থেকে দিন পর্যন্ত যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও লালি গুড়। গাছিরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোররাতের মধ্যেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে আনেন। এরপর তাদের টিনের বড় তাওয়ায় রেখে জ্বাল দেন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এরপর আরও কয়েকটি প্রক্রিয়া শেষে তৈরি হয় সুস্বাদু গুড়। আর ভেজালমুক্ত এই গুড় কিনতে আসছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে আসছেন খেজুরের রস পান করতে। এখানকার উৎপাদিত গুর স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে সারাদেশে।
এবার প্রায় ৪ মাস ধরে চলবে এই রস সংগ্রহ ও সুস্বাদু গুড় তৈরির কাজ। খেজুর গাছের রস বাদুর খাতে পারে, আর এই রস কাঁচা খেলে নিপা ভাইরাসের আশঙ্কা থেকে আছে । কাঁচা খেজুরের রস না খেয়ে খেজুরের রস ফুটিয়ে অথবা গুড় করে খাওয়ার পরামর্শ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগেরই কর্মকর্তার।
এ জেলায় কৃষি বিভাগের সূত্রমতে চলতি মৌসুমে ২০০ মেট্রিক টন খেজুরের গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।



Leave a Reply