জনজীবন ডেস্ক–
জয়পরহাটে আদালতের এজলাসের ভিতরে বেঞ্চ সহকারিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবী ও তার সহকারির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই বেঞ্চ সহকারি মামলা করলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জন করেন জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালতের কর্মচারিদের অভিযোগ, মামলা তুলে নিতে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম হুমকি। এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইনজীবীরা। গত ৩ জুন দুপুরে জয়পুরহাট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাঈম হোসাইন তার এজলাসে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। সে সময় জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য গোলাম মোর্শেদ আল-কোরেশী সাক্কু চৌধূরী ও তার শিক্ষানবিশ আইনজীবী সহকারী পিয়ন একটি দায়রা মামলার চেকসহ যাবতীয় কাগজ-পত্রের ফটোকপি চান। জাবেদা নকল ছাড়া আদালতের নিদের্শনা না থাকায় ফটোকপি দেওয়া যাবেনা বলে নাঈম জানালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা নাঈমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ওই দিন নাঈম ওই আইনজীবি ও তার শিক্ষানবিশ আইনজীবী সহকারীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। এরপর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত বর্জন করেন। এ নিয়ে আইনজীবি ও আদালতের কর্মচারীদের দুপক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এ্যাড. সাক্কু চৌধুরী বলেন, বেঞ্চ সহকারি নাঈম তাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন, তারপর তিনি ধাক্কা দিয়েছেন।আমি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছি-।
জয়পুরহাটজেলা ও দায়রা জজ আদালত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন নাজির, আব্দুল হান্নান জানালেন। ঘটনার দিন জেলা ও দায়রা জজ ছুটিতে ছিল । আর মাননীয় জেলা জজ স্যারের আদালত ুনারা বর্জন করছে\ এজলামে ঢুকে তারা কর্মচারীকে মারধর করবে আবার মাশলা তুলে নেয়ার হুমকিও দিবে। এভাচেললে আরও কমৃচারীকে যদি মার ধর কওে তাহলে আদালত –ত অচর হয়ে যাবে\ এ ঘটনায় মামলা প্রত্যাহার করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাই নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছেন বলে জানালেন আদালতের কর্মচারীরা।
ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি এ্যাড. বদরুল ইসলাম হোদা,জানান-বেঞ্চ সহকারি, আইনজীবি ও মোহরার অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আদালত বর্জন চলছে, এতে আমরাও বিব্রত বললেন দায়িত্বে থাকা সরকারি এই আইনজীবী।
জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শাহনূর রহমান শাহীন,জানান , মিথ্যা মামলা করায় ২৪ আইনজিবীদেও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ শে- শুধু জেলা জজের আদালত বর্জন চলছে । মামলা তুলে নিলে আমরা জেলা জজের আদালতে আবার মামলা চালাব।
সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রতিক হিসেবে বিবেচিত আদালত। এ আদালতে অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা দ্রæত সমাধানের দাবি সবার।
Leave a Reply