জয়পুরহাটে এসে শাকিউল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে ঘর বাধলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী প্রভাষক রাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ।
সাংবাদিকের নাম:
আপডেট টাইম:
রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
৬৮
০০০ জন পড়েছে।
জনজীবন ডেষ্ক–প্রিয়ার একটি কালো তিলের জন্য পারস্যের কবি ওমর খৈয়াম সমরখন্দ , ও বোখারা শহর ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।
তাইতো প্রেমের টানে নিজ দেশের পেরিয়ে সুদুর ইন্দোনেশিয়া থেকে হাজার হাজার পথ পারি দিয়ে জয়পুরহাটে এসে শাকিউল ইসলাম (২৯) নামে এক যুবকের সাথে ঘর বাধলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ (২৭)। এ ঘটনায় রীতিমত এলাকায় হইচই পড়েছে। অনেকেই বিদেশী বউকে দেখতে ছুটে আসছেন শাকিউলের বাড়িতে।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কুশুম শহর গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে শাকিউল ইসলাম । শাকিউলের স্ত্রী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ ইন্দোনেশীয়ার জাম্বী প্রদেশের পদজাদজারন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাবার নাম লাসিমিন। বর শাকিউল ইসলাম ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরাম স্পিকিং-২৪ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দের সাথে পরিচয় হয়। এরই এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত দুইমাস আগে শাকিউল ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যান। সেখানে গত ১০ জুন ওই দেশের নীতি অনুযায়ী পারিবারিক ভাবে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। এরপর ১৮ জুন তারা দুজন জয়পুরহাটের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) স্থানীয় রেওয়াজ অনুসারে বউভাত অনুষ্ঠিত হয়, এতে নব দম্পতিকে দেখার জন্য এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজন জানালেন তারা খুব সুখে আছে আমরা ঘটা করে আন্তীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে বিয়ের বৌভাত এর অনুষ্ঠান করেছি। ছেলের বাবা ও মামা বললেন আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার । ছেলে বৌ উচ্চ শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার । সে এটা মেনে নিয়েই বিয়ে করেছে আমরাও খুশী , বৌএর কোন অহংকার নাই সে ইংরেজীতে কথা বলছে আমরা বুঝিনা ছেলে বাংলা তরজমা করে আমাদের শোনোচ্ছে।
বর-শাকিল জানান ‘ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরাম স্পিকিং-২৪ মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি তার দেশে গিয়ে ওই দেশের রেওয়াজ অনুসারে তাকে বিয়ে করেছি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আমাদের রেওয়াজ অনুসারে বউভাত অনুষ্ঠিত হয়।
************************
কনে তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ। বলেন-বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো
লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছি। বাংলাদেশের খাবার ও সংস্কৃতি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।
শাকিউল বিদেশী মেয়েকে বিয়ে করেছে দেখে বিভিন্ন এলাকা মানুষ তাদের দেখতে যাচ্ছে। তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী হোক এই দোয়া করি। লোকমুখে বিষয়টি জেনেছি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার মেয়েটিকে দেখতে মানুষজন শাকিউলের বাড়িতে ভিড় করছে। দোয়া করি তারা দাম্পত্য জীবনে সুখি হোক
সিংকঃ আবু রাশেদ আলমগীর, ইউপি চেয়ারম্যান,বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদ ।
তারা দুজন ভিন্ন দেশের হলেও সারাজীবন যেন সুখে থাকে এই প্রত্যাশা সকলের।
Leave a Reply