1. kabir28journal@yahoo.com : Abubakar Siddik : Abubakar Siddik
  2. kabir.news@gmail.com : Kabir :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

———-আর্শিনা ফেরদৌস

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট টাইম: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪৩ ০০০ জন পড়েছে।

জলবায়ু বলতে কি বুঝি?

জলবায়ু: জলবায়ু (climate) : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের সুদীর্ঘ সময়ের, সাধারণত ৩০-৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড় বা সামগ্রিক অবস্থার হিসাবকে জলবায়ু বলে।

বাংলাদেশের জলবায়ু ধরন কেমন?
বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এখানে এত অধিক যে, এ জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে এর দিক পরিবর্তন হয়। এ বায়ুর কারণে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় আর শীতকাল শুষ্ক থাকে।

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব:
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে অস্থায়ী বা স্থায়ী নেতিবাচক ও ইতিবাচক প্রভাব যেসব দেশে

১. বাংলাদেশ

২. মিয়ানমার

৩. হন্ডুরাস
৪. ভিয়েতনাম
৫. নিকারাগুয়া
৬. হাইতি
৭. ভারত
৮. ডমিনিক প্রজাতন্ত্র
৯. ফিলিপাইন
১০. চীন
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ। (সূত্র: জার্মান ওয়াচ।)
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নেতিবাচক এবং ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তার যাবতীয় চুলচেরা বিশ্লেষণকে বোঝাচ্ছে।  UNFCCC বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে মানুষের কারণে সৃষ্ট,আর জলবায়ুর বিভিন্নতাকে অন্য কারণে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহার করে। কিছু কিছু সংগঠন মানুষের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তনসমূহকে মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বলে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, বিশ্বব্যাপি জলবায়ুর পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণেই নয়, এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণও সামিল। এই নিবন্ধে “বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন” বলতে শ্রেফ প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ু পরিবর্তনকে বোঝানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচ-এর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই সমীক্ষা চালানো হয় ১৯৯০ থেকে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ১৯৩টি দেশের উপর। উল্লেখ্য, উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৭ এবং ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ততার বিচারে বিশ্বব্যাপী গবেষকগণ বাংলাদেশকে পোস্টার চাইল্ড হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
প্রাকৃতিক (পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া, সৌর বিকিরণের মাত্রা, অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন, সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান ইত্যাদি) নানা কারণে জলবায়ু স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হলেও মূলত মানবসৃষ্ট (কলকারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস, কয়লা পোড়ানো, ইটভাটার ধোঁয়া, গাছ কাটা ইত্যাদি) কারণেই জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।আরও কিছু কারণ…

বৃষ্টিপাত হ্রাস
অস্বাভাবিক তাপমাত্রা
মরুকরণ
সুপেয় পানির অভাব
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি

কিভাবে এই জলবায়ুর পরিবর্তন স্তিমিত করা যায়…

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মপরিকল্পনা ছয়টি স্তম্ভের উপর নির্মিত: 1. খাদ্য নিরাপত্তা সামাজিক সুরক্ষা স্বাস্থ্য 2. ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা 3. অবকাঠামো 4. গবেষণা এবং জ্ঞান ব্যবস্থাপনা 5. প্রশমন এবং কম কার্বন উন্নয়ন এবং 6. ক্ষমতা বৃদ্ধি।

সেচ কাজে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা  বৃষ্টিপাত থেকে বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ করা এবং ভূগর্ভস্থ পানির অপব্যবহার রোধ করা, বিশেষ করে সেচ কার্যক্রমে ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের জন্য ব্যবহৃত কার্ড সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত।
বাংলাদেশ 2030 সালে তার ghg নির্গমন 89.47 mtco2e বা 21.85% কম করবে বাউ থেকে কম

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে 30শে জুন, 2008 তারিখে চালু করা হয়েছিল। NAPCC এমন পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত করে যা উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলিকে উন্নীত করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে কার্যকরভাবে মোকাবেলার জন্য সহ-সুবিধাও দেয়।
শহরের জলবায়ু উন্নত করতে যা সাহায্য করে..
শক্তি সাশ্রয়ী ভবন কম কার্বন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং সাইকেল চালানো এবং হাঁটা উত্সাহিত করা co2 নির্গমন কমাতে অপরিহার্য পার্ক এবং বাগান সহ শহরগুলিকে সবুজ করা co2 হ্রাস করে এবং শহুরে অঞ্চলগুলিকে শীতল করতে এবং বন্যা কমাতে সহায়তা করে

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান সমাধানগুলি কী কী
জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানগুলি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আমাদের নির্ভরতা শেষ করে বৃহত্তর শক্তি দক্ষতা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি টেকসই পরিবহন টেকসই ভবন উন্নত বন ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই কৃষি সংরক্ষণ ভিত্তিক সমাধান।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বিপাক্ষিক দাতা এবং বেসরকারি খাত বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন প্ল্যাটফর্ম বিসিডিপি একটি প্রকল্প প্রস্তুতি সুবিধা এবং সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগের জন্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি 3 ডিসেম্বর 2023 প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতির ঘোষণা করছে।
বাংলাদেশ একসময় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল ছিল এখন তা চরমভাবাপন্ন অঞ্চলে পরিনত হয়েছে।

মানবসৃষ্ট পরিবেশ দুষণ আমরা মোকাবিলা করে একটা সুন্দর স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর অঞ্চলের আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি।

বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বিগত কয়েক বছরে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক আচরণ সেই পরিচিতি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় এলাকায় সর্বোচ্চ ৪২.৩° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয় ৪৬.২° সেলসিয়াস, রাজশাহীতে।বর্তমানে দেশের কয়েকটি জেলায়  চরম তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৭১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যা ২০৫০ সালের মধ্যে এক কোটি ৩৩ লাখে পৌঁছাতে পারে।

১৯৭৮ সাল থেকে দেশটি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের ৩টি বড় জনস্রোত প্রত্যক্ষ করেছে। যাদের প্রত্যেকের অনন্য চিকিৎসা চাহিদা রয়েছে এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে রাখা হয়েছে।

আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগই দেয়নি বরং সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকা রয়েছে। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং আইনি দুর্বলতাগুলো মোকাবিলার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টাও করেছে।

ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ , অবকাঠামোর অভাব , উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব (166 মিলিয়ন মানুষ 147,570 কিমি  এলাকায় বসবাস করে ), একটি নিষ্কাশনবাদী অর্থনীতি এবং সামাজিক বৈষম্য বর্তমান পরিবর্তিত জলবায়ু মোকাবেলায় দেশের দুর্বলতা বাড়িয়ে তুলছে। শর্তাবলী প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশের বৃহৎ অঞ্চল ঘূর্ণিঝড় , বন্যা এবং ভাঙনের মতো আরও তীব্র ঘটনার শিকার হয়। উল্লেখিত প্রতিকূল ঘটনাগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ব্যবস্থাকে প্রায় ভেঙ্গে ফেলে দেশের উন্নয়নকে ধীর করে দিচ্ছে।

বর্ধিত বৃষ্টিপাত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় থেকে আসা প্রাকৃতিক বিপদগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, প্রতিটি মারাত্মকভাবে কৃষি, পানি এবং খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য এবং আশ্রয়কে প্রভাবিত করে।

বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা 2050 সালের মধ্যে 0.30 মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার ফলে 0.9 মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হবে এবং 2100 সালের মধ্যে 0.74 মিটার পর্যন্ত বাড়বে, যার ফলে 2.1 মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হবে।

তথ্যসূত্র: পরিবেশ অধিদপ্তর।

সাংকেতিক 

 

অন্ধকারে যদি দেখা যেতো সাদা কাগজ 

তবে খোদাই করতাম তাতে 

সাত লক্ষ কবিতার বাণী।

ভাবনায় যদিও বা জলে ডুবি 

তবু মনের ভাষা যে অন্য কিছু 

কাকে রেখে কাকে বলি ? 

 

সুন্দরে দেখি ভালোবাসা 

কাঁটার আঘাতও আছে সেথা।

রৌদে স্নান করে মুগ্ধ হই-

অত:পর দিনকে তাড়াই রাত্রির জন্য 

রাত্রি আমাকে দেয় রুপালি দিপালী শস্য 

হই আমি সতেজ।

 

আমি নারী 

মানবী-

মায়াবতী-

ফুলবতী-

কাঁটা ফেলে ফুলকেই ধরে রাখি।

 

আমি ভাসি 

তবুও হাসি 

হাসিতে হাসিতে গড়ি স্বপ্নের নদী ;

বৃষ্টি আমি-

সৃষ্টির বৃষ্টিতেই বয়ে চলি।

   

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরো সংবাদ