সুজন সখী ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার রোমান্টিক চলচ্চিত্র। প্রমোদ কর ছদ্মনামে ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান জনতা চিত্র প্রকল্প প্রযোজিত এই ছায়াছবিটির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন আমজাদ হোসেন এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক খান আতা নিজেই। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে দুই ভাইয়ের আলাদা হয়ে যাওয়া ও তাদের মিলনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। এতে নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক ও কবরী সারোয়ার এছাড়াও অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন খান আতাউর রহমানইনাম আহমেদরওশন জামিলসুমিতা দেবী। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রথম আয়োজনে তিনটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[৪] ১০ অক্টোবর, ১৯৭৫ তারিখে ৩৫ মিমি ফরম্যাটের এই সাদাকালো চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রকার শাহ আলম কিরণ অকাল প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে সুজন সখি নামে চলচ্চিত্রটির পুনঃনির্মাণ করেন। এই চলচ্চিত্রের একটিমাত্র কপি বর্তমানে বাংলাদেশ ফিল্ম আরকাইভের সংগ্রহে রয়েছে।

কাহিনী

পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আলাদা হয়ে যায় দুই ভাই সুলেমান ও লোকমান। সুলেমান যাওয়ার সময় তার সব সম্পত্তি তার ভাতিজা সুজনকে দিয়ে যায়। সুজন লোকমানের ছেলে। সুলেমানের স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা যায়, আর সেই কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয় সখী। সুলেমানের মেয়ে সখী তার দাদীর আদর-যত্নে বড় হতে থাকে। একদিন সুজনের সাথে সখীর পরিচয় হয় এবং ঘটনাক্রমে তাদের প্রণয় ঘটে। কিন্তু তারা দুজনের কেউই কারো আসল পরিচয় জানে না। সখী একদিন তার দাদীর সাথে সুজনের পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি সুজনকে দেখে চিনতে পারেন। আর তখনই তারা তাদের আসল পরিচয় জানতে পারে। তারপর সুজন আর সখির প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই ভাইয়ের পুরনো দ্বন্দ্ব!

ভিঅনেয়

সঙ্গীত

ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন খান আতাউর রহমান। গীত রচনা করেছেন খান আতাউর রহমান ও মমতাজ আলী খান। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আব্দুল আলীমসাবিনা ইয়াসমিননীলুফার ইয়াসমিনইন্দ্রমোহন রাজবংশীরথীন্দ্রনাথ রায়, গোলাম আম্বিয়া, ইয়ামিন চৌধুরী, ও মুস্তাফিজুর রহমান।

গানের তালিকা

  1. সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা – আব্দুল আলীম ও সাবিনা ইয়াসমিন

পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বাচসাস পুরস্কার