জনজীবন ডেস্ক—
জয়পুরহাটের কৃষক দিলিপ কুমার এবার এই প্রথম “সূর্যমুখী” ফসলের আবাদ কওে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসীকে।
বাণিজ্যিক ভাবে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড় তারা গ্রামের মাঠজুড়ে “সূর্যমুখী” ফসলের আবাদ শুরু করেছে।
দেশে ২০ লাখটন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। আমদানি নির্ভর বলে প্রতিবছরই ভোজ্যতেল নিয়ে সংকটে পড়তে হয় সরকারকে। তাই দাম আর সরবরাহ সংকটে পরতে হয় নাকাল। কারণেই এবারে স্থানীয়ভাবে তেলের উৎপাদন বাড়াতে তিল, তিসি, সরিষার পাশাপাশি সূর্যমুখী, চাষে জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও আনুষঙ্গিক সুবিধা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। তাই দিন দিন সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
“সূর্যমুখীর ফুল হলুদ দেখতে খুব সুন্দও, এর তেল রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানী কওে ।এনবিআরএ তথ্যে দেখা যায় ২০২১ সালে ৭ হাজার টন সুর্যমুখীর তেল আমদানী করেছে। আমাদের বাডীর আশেপাশে বা ফুলের বাগানসহ পতিত জমি এর আওতায় আনতে পারলে। একদিকে কৃষকরা তার নিজেদের তেল নিজেরাই উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে প্রতিবছর সরকারে হাজার হাজার কোটি টাকার তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না । তাই সূর্যমুখীসহ তেলজাতীয় শস্য উৎপাদন করে সে আমদানি র্ভিরতা কাটিয়ে ওঠতে পারবে সরকার। এবারে জয়পুরহাটে ৬ বীঘা সূর্যমুখী আবাদ করা হচ্ছে, যা এবারই প্রথম। কৃষকরা ধারণা করছে ধান, আলু, বা অন্য ফসলের চেয়ে ও শ্রম,খরচ কম পাশাপাশি “পুষ্টি গুণাবলী থাকায় “সূর্যমুখী” অধিক লাভ জনক ফসল । তাই অন্যান্য কৃষকরা ও ঝুঁকছে এই ফসলে।
এলাকার কৃষক রাসেল বলছেন এই সুর্যমুখী ফুল দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় করছে এই এলাকার লোকেরা। প্রতি বিঘা ১০-১২ হাজার টাকা যা অন্যান্য ফসলের চেয়েও অনেক কম খরচ। আর “সূর্যমুখী ” পশু পাখির খাদ্য, তেলে রয়েছে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট, ত্বক সুরক্ষা কওে,কোলেষ্টরাল নিয়ন্ত্রন কওে হাড় মজবুতকরে। এই তেলের মধ্যে টোকো ফেরোল উচ্চ মাত্রার ফাইস্টেরলএবং লিনেপালিকঅ্যাসিড মস্কিষ্কে খুব উপকার করে।এটিতে কোলিন আছে যা উদ্বেগ ও বিষন্নতা কমায় স্মৃতি শক্তি বাড়ায়। এর বীজ রোদে শুকাতে হয় ¦ং সরিষার মত কাঠের ঘানিতে ভংগে তেল বের কওে নিতে হয়\ সৃর্যমুখীর তেল ভিটামিন ই, ত্বকের আদ্রতা ধওে রাখে ত্বককেশুস্ক হওয়ায় হাত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।ই তেল দিয়ে লুচি ভাজা খুব মজা হয়।
– কৃষক দিলীপ কুমার সরকার বলেন আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে সুর্য
মুখী লাগিয়েছি খরচ কম লাভ বেশী ্ এই তেলের খুব িগুনাগুন। তিল, তিসি, সরিষার পাশাপাশি সূর্যমুখী, চাষে জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও আনুষঙ্গিক সুবিধা দিচ্ছন বলছেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
জয়পুরহাটের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের,তিনি জানালেন
জেলায় এবার সরিষা, তিল, তিশিসহ “সূর্যমুখী” তেল জাতীয় ফসলের চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৮শ ৩৫ হেক্টর জমিতে। যা থেকে পাইকারী পর্যায়ে বিক্রির পাশাপাশি স্থানীয় মিলে ভাঙিয়ে পরিবারে তেলের চাহিদা পূরণ করছেন এখানকার কৃষকরা।
আমরা তাদের প্রনোদনা দিয়ে যাচ্ছি।


Leave a Reply