রেজাউলকরিম রেজা,জয়পুরহাট—
জয়পুরহাটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও হানাদার মুক্ত দিবস নানা কর্মস‚চির মধ্যে দিবস পালিত হচ্ছে”। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলার পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি ও কড়ই কাদিপুর বধ্যভূমি পুষ্পর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতী,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক আমিনুল হক বাবুলসহ সরকারি – বেসরকারি কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মস‚চি পালন করছে।
১৪ ই ডিসেম্বর জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে পাক হানাদারদের হটিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা ১৪ই ডিসেম্বরের ভোরের আকাশ রাংগিয়ে ওঠার আগেই শীতের কুয়াশা ছিন্ন ভিন্ন করে ফাঁকা গুলি বর্ষন করে আনন্দ উলাসের মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটে প্রবেশ করে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তার সাথী রাজাকার আলবদর বাহিনী পালিয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট ও বগুড়ায় পালিয়ে যায় জীবন বাঁচাতে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাঘা বাবলু জয়পুরহাটের ডাক বাংলোতে স্বাধীনতার বিজয় কেতন সোনালী বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উওোলন করেন।
উওর বঙ্গের সবচেয়ে বৃহৎ বধ্যভুমি এই পাগলা দেওয়ান। আজকের দিনে জয়পুরহাট বাসী স্বরন করে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সাথে নিয়ে জয়পুরহাটের কড়ই-কাদিপুর ও পাগলা দেওয়ানে চালিয়েছিল নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। শত শত নিরিহ মানুষকে এখানে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়া হয়। এখানে শহীদদের স্মরনে সরকারী ভাবে একটি স্মৃতি বিজয় স্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। বিজয়ের এই দিনটিকে জয়পুরহাটবাসী স্মরনরেখেছে মনের মনি কোঠায়।
এখানে পাক হানাদার বাহিনীর একটি পরিত্যাক্ত বাংকার এখনও বিদ্যমান । এখানে গ্রাম থেকে নারীদরকে নিয়ে এনে ধর্ষন করত পাক বাহিনী\
বাংকারটি দেখার জন্য শত শত লোক এখানে ভীড় করে। আজও কালের সাক্ষি হয়ে আছে এই বাংকার টি
দীর্ঘ ৫২ বছরেও জয়পুরহাটে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা তৈরি না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে জয়পুরহাটের কালাইয়ে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন, কালাই পৌরসভাসহ প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন। এ সময় দেশের সেই সূর্য সন্তানদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে সেখানে স্মৃতিসৌধে মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কালাই পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা, কালাই থানা অফিসার ইনচার্জ ওয়াসিম আল বারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, কালাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ধজেনদ্রনাথ,কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আজিজার রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply