জনজীবন ডেস্ক—
ঝর্ণা বেগম নাবালকিা থাকতেই তার বাবা অল্প বয়সে হয় বিয়ে দিয়ে দেয়। এস,এসসি পাশ করেই ঘর সংসার শুর করে, নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের স্বামী সামান্য জমি আর কামলা খেটেখুটেই সংসার চালায়।কিন্তুু ঝর্ণা বেগমের মন পড়ে আছে অন্য খানে, সে আরও লেখা পড়া শিখে চাকুরী করবে।স্বামী কে ম্যানেজ করে পড়ালেখা শুর কওে লেখা পড়া। এইচএসসি, ও তার পর জয়পুরহাট ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী এর পর ঘড় সংসার চালিয়ে মাস্টার্স চালিয়ে যাচ্ছে।। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে মাটির ঘরে গড়ে তুলেছে লাইব্রেরী।। তার লাইব্রেরী পরিদের্শন কওে জেলা গ্রন্থাগার তাকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে।
গগুনা গোপীনাথপুর দক্ষিন পাড়া আমপাড়া গ্রামে তার বাড়ীতে লাইব্রেরীর পাশাপাশি গ্রামের অশিক্ষিত নারীদেওে কে নিরক্ষতা দুর করার জন্য হাতে কলমে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে\
অসাধারণ এই গৃহবধুর গল্প কেও হার মানায়।
তার সাথে পরিচয় হয় একটি একটি প্রোগ্রামে যেটি জাকোস ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছিল উদ্যোক্তা মেলা । একটি সাধারণ গ্রামের মেয়ের মধ্যে যে এইরকম অসাধারণ অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রেরণা লুকিয়ে আছে তা তার সাথে কথোপকথন না হলে প্রতিবেদক জানতেও পারত না।
সে তার ছোট্ট গৃহে একটি মাটির ঘরে লাইব্রেরী তৈরি করেছে। এবং তার গ্রামের সকল সাধারণ গৃহবধূদের ও সন্তানদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে ব্যস্ত দিন পার করে।
এর পাশাপাশি তাদের কুটির শিল্পে, হস্তশিল্পে, উদ্যোক্তা হতে, এবং জীবনের মান উন্নয়নের নেপথ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এবং পরিবেশ রক্ষায় ও আগামীর ভবিষ্যৎকে নির্বিচ্ছিন্ন অক্সিজেন দেয়াার জন্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য, গাছ লাগানোর উৎসাহ প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীকে।
অনেকে তার এই কাজ দেখে তাকে
একজন ৬০ টি ফলদ ও বনজ গাছ উপহার দেয়। সেই গাছগুলির সাথে আরো ৪০টি গাছ যুক্ত করে সমাজ কর্মীদের আমন্ত্রণ জানায় তার গ্রামবাসীকে গাছগুলোকে উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠানে।
ইতিমধ্রে প্রায় তিনি ৫০০০,(পাঁচ হাজার গাছ বিতরন করেছে ভুমিহীন ও গ্রাম বাসীর মাঝে।
জয়পুরহাট জেলা বজ্ঞশ্রী সাহিত্য সংস্কৃতি ও লাইব্রেরী সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক ,মানবাধিকার কর্মী রবিউল ইসলাম সোহেল, কবি কবির চৌধুরী সহ গিয়ে তার বাসার মাটির ঘরে যেভাবে লাইব্রেরী গড়ে তুলেছে তা দেখে সকলেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছে কিছুক্ষণের জন্য।
একজন বাঙালী নারী হয়ে নিজের গ্রাম-বাংলার গতি প্রকৃতি ও ঐতিহ্য জানার জন্য যে সকল লেখকের বই প্রয়োজন তা সবটিই আছে তার কাছে। কথা হয় তার আগামীর আরো অনেক স্বপ্নময় পরিকল্পনাগুলো নিয়ে। যতই জানতে থাকি তার স্বপ্নের কথা ততই অবাক হতে থাকি এবং মনে মনে ভাবি আসলেই মানুষ তার স্বপ্নের সমান ঝরনা তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ ও জলয্যান্ত উদাহরণ। এই ধরনের অদম্য অসাধারণ মানুষগুলো আছে বলেই বাংলাদেশ তথা এই বিশ্ব এত সুন্দর।
ঝরনা চায় এখানে একটি পথে শিশু দের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা,
প্রতিটি সড়কের পার্শে তালগাছ, খেজুর গাছ, ঔষধী গাছের বাগান লাগানো তার স্বপ্ন।
তার স্বপ্ন পুরন হোক এই প্রত্যাশা সকলের।।
Leave a Reply