জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সহোদর দুই ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
দÐপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই কাদিপুর গ্রামের মৃত আঃ সালামের ছেলে আমিনুর ইসলাম, ঈদা মন্ডলের ছেলে আঃ কুদ্দুস ও আঃ হান্নান, মানিকের ছেলে আনোয়ার, আছির উদ্দীনের ছেলে দুদু, মৃত আয়েজ উদ্দীনের ছেলে ঘুটু আলম, আক্কেলপুর উপজেলার লক্ষীভিটা গ্রামের খাঁজামুদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আলী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী ফকিরপাড়ার রজব আলীর ছেলে আব্দুল আলিম কড়ই কাদিপুর গ্রামের একটি পুকুরে রাতে পাহারাদারের চাকরি করতেন। ২০০৯ সালের ৭ মার্চ রাতে আসামীরা চুরি করে পুকুরে মাছ ধরতে চাইলে আব্দুল আলীম বিাধা দেন এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় এক পর্যায়ে আসামীরা এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় পুকুরের ধান ক্ষেতে আব্দুল আলীমের হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় এক কৃষক। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন।
অন্যদিকে পারিবারিক কলহের জেড়ে আক্কেলপুরের লক্ষীভিটা গ্রামের খাজামুদ্দীনের ছেলে ইয়াসিন আলী তার স্ত্রী জোলেখা বেগমকে মারপিট করলে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে পরে তাকে আক্কেলপুর উজেলা স্বামস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি ৃকরায় অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নওগাঁ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এঘটনা নিহত জোলেখার বাবা আঃ জোব্বার বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে জোলেখার স্বামী ইয়াসিন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেওয়া হয় এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।