শুধু কলকাতার মানুষ নয়, বাংলার প্রতিটি শহর ও গ্রামাঞ্চলের সংগীত প্রেমীদের মুখে মুখে ছিল –
‘কত যে কথা ছিল / কত যে ছিল গান / কত যে বেদনার / না বলা অভিমান। / তোমায় কাছে পেয়ে / আকাশ হলো রাঙা / গহীন রাতে প্রিয়া / সহসা ঘুম ভাঙা। / আলোয় ঝলমল / যে পথে নিয়ে চল / সে পথে বেদনার / হবে কি অবসান / চকোরি কী যে চায় / চাঁদ কি জানে হায় / সাগর বোঝে না তো নদীর কলতান। /
ভেবেছি বলি বলি / হলো না তবু বলা / জানি না কত দূরে / হবে গো পথ চলা / সহসা ফুলবনে / ভ্রমর গুঞ্জনে / আতনু ফিরে গেল / হানিয়া ফুল বনে’… এই গানখানি। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এ গানটি ছিল ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শেষ পরিচয়’ ছবিতে। গানটির রচয়িতা ছিলেন কবি বিমল ঘোষ। সুরকার ছিলেন – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
লতা মঙ্গেশকর –
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল –
১. যারে যারে উড়ে যারে পাখি ; ২. আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে ; ৩. সাতভাই চম্পা জাগো রে জাগো রে ; ৪. অলস শয়ন ছাড়ো সংকট সংহার নবারুণ রঙে রাঙো ; ৫. আজ তবে এইটুকু থাক, বাকি কথা পরে হবে ধূসর ধূলির পথ ; ৬. আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব, হারিয়ে যাব আমি তোমার সাথে ; ৭. আমি বলি তোমায় দূরে থাকো, তুমি কথা রাখো না ; ৮. আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন ; ৯. ও আমার প্রাণ সজনী চম্পাবতী কন্যা ; ১০.
ও তুই নয়নপাখি আমার রে, বলো কোথায় যাবি রে ;
১১. ও পলাশ ও শিমুল, কেন এ মন মোর রাঙালে ; ১২. ও প্রজাপতি প্রজাপতি পাখনা মেলো ; ১৩. ও বাঁশি, হায় বাঁশি কেন গায় আমারে কাঁদায় কী গেছে হারায়ে ; ১৪. ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা ; ১৫. ওগো আর কিছু তো নাই, বিদায় নেবার আগে তাই ; ১৬. ওরে মনপাখি, কেন ডাকাডাকি, তুই থাক না রে গোপনে ; ১৭. কত নিশি গেছে নিদহারা ওগো ; ১৮. কী যে করি দূরে যেতে হয় তাই সুরে সুরে কাছে যেতে চাই ; ১৯. কী লিখি তোমায়, প্রিয়তমা? তুমি ছাড়া আর কোনো কিছু ভালো লাগে না আমার ; ২০. কেন কিছু কথা বলো না, শুধু চোখে চোখে চেয়ে যা কিছু চাওয়ার আমার ;
২১. কেন গেল পরবাসে বলো বঁধুয়া ; ২২. ঝিলিক ঝিলিক ঝিনুক খুঁজে পেলাম তোমায় তা দিলাম ;
২৩. না, যেও না, রজনী এখনো বাকি ; ২৪. নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা বুঝি বা পথ ভুলে যায় ; ২৫. পা পা মা গা রে সা – তার চোখের জটিল ভাষা ; ২৬. প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে আমারই এ দুয়ার প্রান্তে ; ২৭. মন লাগে না তুমি বিনা মোর জীবন যেন চাঁদিনী বিহীনা রজনী, হায় ; ২৮. রঙিলা বাঁশিতে কে ডাকে ঘুম ঘুম নিঝুম রাতের মায়ায় ; ২৯. যাবার বেলায় পিছু থেকে ডাক দিয়ে কেন বলো ; ৩০. যারে যারে উড়ে যারে পাখি ; ৩১. কে প্রথম কাছে এসেছি কে প্রথম চেয়ে দেখেছি ; ৩২. দে দোল দোল দোল তোল পাল তোল চল ভাসি সবকিছু ত্যাইগ্যান; ৩৩. জানি না জানি না কোন সাগরের ঢেউ এসে ; ৩৪. নিজেরে হারায়ে খুঁজি তোমারই নয়ন মাঝে ; ৩৫. এবার আমার সময় হলো যে যাবার।
একসময় লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া –
‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে
আমারই দুয়ার প্রান্তে ,
সে তো হায় মৃদু পায়
এসেছিল পারিনি তো জানতে।
সে যে এসেছিল বাতাস তো বলেনি
হায় সেই রাতে দীপ মোর জ্বলেনি
তারে সে আঁধারে চিনিতে যে পারিনি ,
আমি পারিনি ফিরায়ে তারে আনতে…।।
যে আলো হয়ে এসেছিল কাছে মোর
তারে আজ আলেয়া যে মনে হয়
এ আঁধারে একাকী এ মন আজ
আঁধারেরই সাথে শুধু কথা কয় ।
আজ কাছে তারে এত আমি ডাকিগো ,
সে যে মরীচিকা হয়ে দেয় ফাঁকি গো –
ভাগ্যে যে আছে লেখা হায়রে
তারে চিরদিনই হবে জানি মানতে’ – এই গানটি স্কুল কলেজের ফাংশনে কেউ না কেউ গাইতেন। পথেঘাটে চলতে গেলে কারো না কারো মুখে এই গানটি শোনা যেত – গুনগুন করে গাইতেন পথচারীরা পথ চলতে চলতে। সেই স্মৃতি আজও মন থেকে মুছে যায়নি।
জগন্ময় মিত্র –
জগন্ময় মিত্রের গাওয়া – ‘তুমি আজ কত দূরে আঁখির আড়ালে চলে গেছ তবু রয়েছ হৃদয় জুড়ে’ বোধহয় বাঙালি কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
জগন্ময় মিত্রে গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল –
১. অন্তবিহীন নহে তো অন্ধকার কঠিন আঘাতে ভাঙিবে বন্ধ দ্বার ; ২. আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়, তুমি যে বহ্নিশিখা ; ৩. আমি স্বপন দেখেছি কাল রাতে ; ৪. ঝরা ফুলে ভরা এই যে সমাধিতল ; ৫. হৃদয় আমার যেন কাহারে চেয়েছিল ; ৬. তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন আমারে ; ৭. প্রিয় যদি নাহি আসে এ মধুমাধবী রাতে আমার এ মালাখানি ঝরে যাবে বেদনাতে ; ৮. ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে তোমারে করেছে রানি ; ৯. ভুলি নাই ভুলি নাই ভুলি নাই ভুলি নাই নয়নে তোমারে হারায়েছি প্রিয়া স্বপনে তোমারে পাই ; ১০. মেনেছি গো হার মেনেছি তব পরাজয়ে মোর পরাজয় ; ১১. সাতটি বছর আগে –
এমনি শারদ রাতে তোমায় আমায় দেখা হল সেই আলেয়ায় জোছনাতে ; ১২. তোমারে তো আজও ভুলি নাই ; ১৩. যাদের জীবন ভরা শুধু আঁখিজল ;
১৪. শাওন রাতে যদি ; ১৫. স্বপন সুরভী মাখা ; ১৬. প্রেমের তাজমহল ; ১৭. মেঘ রাঙালো অস্ত আকাশ দিগন্তে কত রঙ ছড়ায়।
জগন্ময় মিত্রের গাওয়া কয়েকটি গানের পুরো কথা আজও কিন্তু ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যেন মুখস্থ। এমনি ৭টি গান হল –
১.
‘বলেছিলে তাই, চিঠি লিখে যাই…
কথা আর সুরে সুরে,
মন বলে তুমি রয়েছ যে কাছে,
আঁখি বলে কত দূরে’।
তুমি আজ কত দূরে…
আঁখির আড়ালে চলে গেছ তবু রয়েছ হৃদয় জুড়ে।
যাবার বেলায় হাত দুটি ধরে
বলেছিলে চিঠি দিও মোরে –
বলেছিলে তুমি চিঠি দিও মোরে —
দূর থেকে তাই প্রাণের লিপিকা লিখে যাই গো
লিখে যাই সুরে সুরে।।
তুমি আজ কত দূরে…
মনে পড়ে কবে অলখে আসিয়া সহসা মোর চোখে
রাখিয়া কোমল করপল্লব শুধালে, ” বলো তো কে? “
আমি কহিলাম, আজও কি জানো না –
তুমি যে আমার সফল সাধনা,
শুধু অনুভবে হৃদয় চেনে গো হৃদয়ের বন্ধুরে —
তুমি আজ কত দূরে…
দ্বিতীয় অংশ –
‘যত লিখে যাই তবু না ফুরায়,
চিঠি তো হয় না শেষ,
স্মৃতির বীণায় আজও বাজে হায়
প্রথম দিনের রেশ’…।
যে মাধবী তলে দাঁড়ায়ে প্রথম বলেছিলে ভালোবাসি
আজও সে লতায় ফুল ফোটে হায় তেমনই বাজে গো বাঁশি।
আমার ভুবনে সকলি যে আছে,
তুমি নাই শুধু তুমি নাই কাছে –
মোর গানভরা স্মৃতির পাপিয়া একা একা মরে ঝুরে।। তুমি আজ কত দূরে
সোনার মেয়ে গো তুমিও কি আজ বসি বাতায়ন পাশে
প্রহর গনিছ ছল ছল চোখে আমারই চিঠির আশে।
প্রথম প্রেমের এই রীতি হায়
নিজে কাঁদে আর প্রিয়েরে কাঁদায় –
দূরে যেতে তাই মন নাহি চায় গো
কাছে কাছে মরে ঘুরে
তুমি আজ কত দূরে…।
কথা : প্রণব রায় সুর ঃ সুবল দাশগুপ্ত (১৯৪৮)
২.
আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড় , তুমি যে বহ্নিশিখা।
মরণের ভালে এঁকে যাই মোরা জীবনের জয়টিকা।
মোদের প্রেমের দীপ্ত দীপক রাগে
দিকে দিকে ওই সুপ্ত জনতা জাগে
মুক্তি আলোকে ঝলমল করে আঁধারের যবনিকা।
দু-শো বছরের নিঠুর শাসনে গড়া যে পাষাণ-বেদী ,
নূতন প্রাণের অঙ্কুর জাগে তারই অন্তর ভেদি।
তোমার আমার পুণ্য মিলন ব্রতে
আশার কমল ফোটে অশ্রু স্রোতে –
নব ইতিহাস রচি গো আমরা মুছি কলঙ্কলিখা।
কথা : মোহিনী চৌধুরী। সুর ঃ কমল দাশগুপ্ত।
৩.
ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে
তোমারে করেছে রানি,
তোমারি দুয়ারে কুড়াতে এসেছি
ফেলে দেওয়া মালাখানি।
নয়নের জলে যে-কথা জানাই
সে ব্যথা, সে ব্যথা আমার কেহ বোঝে নাই –
মেঘের মরমে যে মিনতি কাঁদে
চাঁদ বুঝিবে না জানি।।
মাধবীলতা গো মাধবী লতা আজ তুমি
আছ ফুলের স্বপন সুখে –
একদিন যবে ফুল ঝরে যাবে
লুটাবে, লুটাবে ধূলির বুকে
খেয়ালি প্রেমের খেলা বোঝা দায় –
কখনো হাসায় কখনো কাঁদায়
মুক হয়ে যায় কারো মুখরতা
কারো মুখে জাগে বাণী।
কথা : মোহিনী চৌধুরী। সুর ঃ কমল দাশগুপ্ত।
৪.
ভুলি নাই ভুলি নাই ভুলি নাই ভুলি নাই,
নয়নে তোমারে হারায়েছি প্রিয়া স্বপনে তোমারে পাই।
বনজোছনার ছায়াতে মধুমালতীর মায়াতে
কে যেন আমায় আজও পিছু ডাকে বারে বারে তাই ফিরে চাই।
নভোনীলিমার মণিহার হতে যে তারাটি গেল ঝরিয়া,
তারই আঁখিজল ঝিনুকেরই বুকে রেখেছে মুকতা গড়িয়া।
যে ফুল ধূলায় ঝরালে তার সুরভি যে প্রাণে ভরালে,
যে বীণা বাজালে তারই সুরে আজও গানের মালাটি গেঁথে যাই।।
কথা ঃ মোহিনী চৌধুরী। সুর ঃ কমল দাশগুপ্ত।
৫.
তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন আমারে
আধোরাতে সেথা উঠেছে কি চাঁদ আঁধারে।
তোমার ভুবন ঘিরিয়া মিলনে এল কি ফিরিয়া
মনে মনে আজ বাঁধিলে কি সেতু
বিরহ নদীর দুধারে।
খোলা এলোচুল মুখের দু’পাশে ছড়ায়ে
তুমি ঘুমায়ে আছ কি
মোর দেওয়া সেই ঝরা মালা বুকে জড়ায়ে।
স্বপনে দিলে কি ভুলিয়া
স্মৃতির দুয়ার খুলিয়া –
আবার কি তারে ফিরে চাও তুমি
ফিরায়ে দিয়াছ যাহারে।।
কথা ঃ প্রণব রায়। সুর ঃ কমল দাশগুপ্ত।
৬.
ঝরা ফুলে ভরা এই যে সমাধিতল –
এই তো আমার মাটির বাসর প্রেমের তাজমহল।
কে বলে আমার প্রিয়তমা নাই,
পাই না দেখিতে তবু সাড়া পাই –
চোখে ঝরে জল হায় মনে তবু দোলে মিলনের শতদল।
আধোরাতে যবে ঘুম ভেঙে যায় সেথায়ে নীরবে আসি,
দেখি জোছনায় ছড়ানো রয়েছে হারানো প্রিয়ার হাসি।
বউ -কথা -কও পাখি দূরে গায়
সুরে সুরে সে যে প্রিয়ারে জাগায়,
মরণ ঘুমেরে স্মরণ মায়ায় মনে হয় শুধু ছল।
কথা ঃ মোহিনী চৌধুরী। সুর ঃ শৈলেশ দত্তগুপ্ত।
৭.
মেনেছি গো হার মেনেছি,
তব পরাজয়ে মোর পরাজয়
বারে বারে তাই জেনেছি।
ফাল্গুনে ধরা দিল যে মলয়
কুসুমে গন্ধে বাজে তারই জয় –
দূরে গিয়ে যত কাঁদানু তোমায়
বেদনা কুড়ায়ে এনেছি।
অভিমান আজ ভুলেছি,
ক্ষমা করো যদি থেকো না দাঁড়ায়ে
বদ্ধ দুয়ার খুলেছি।
এনেছ ভরিয়া তব তনু মন
কোন অমরার আনন্দ ধন –
তোমারে নহে গো হেলায়
আঘাত আপনারই বুকে হেনেছি।
কথা ঃ সুবোধ পুরকায়স্থ। সুর ঃ কমল দাশগুপ্ত।
তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় –
একটা সময় গেছে সর্বশ্রেণির সংগীত প্রেমীদের মুখে মুখে ছিল ‘কাজল নদীর জলে ভরা ঢেউ ছল ছলে / প্রদীপ ভাসাও কারে স্মরিয়া / সোনার বরণী মেয়ে বলো কার পথ চেয়ে / আঁখি দুটি ওঠে জলে ভরিয়া। / সাঁঝের আকাশে এত রং কে গো ছড়াল, মনের বীণায় এত সুর কে গো ছড়াল, / মনের বীণায় এত সুর কে গো ঝরাল। / কারে মালা দেবে বলে অঝোরে বকুল পড়ে ঝরিয়া। / মনের ভ্রমর বুঝি গুঞ্জরে অনুক্ষণ স্মৃতির কমলটিরে ঘিরে, / যে পাখি হারায় নীড় সুদূর আকাশে সে কি আসে কভু ফিরে। / শিউলি ঝরানো আজি সন্ধ্যার বাতাসে / কে গো সাড়া দিয়ে যায় স্বপ্নের আভাসে / কার লাগি দুলে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে থরো থরো এ হিয়া’ – এই গানটি।
তাঁর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান –
১. আমার এ মন ভেসে যায় ; ২. আলতা পায়ের আলতো ছোঁয়া পড়েছে ; ৩. ওগো কন্যা ঘুমাও কত আর ; ৪. কনকচাঁপা ধান আহা চম্পাবরণ ধান ;
৫. কাজল নদীর জলে ভরা ঢেউ ছল ছলে প্রদীপ ভাসাও কারে স্মরিয়া ; ৬. সে যে এক ঝরা কলি সে যে আনারকলি ; ৭. চলো রীনা, ক্যাসুরিনার ছায়া গায়ে মেখে মেখে মেখে লাল কাঁকরের পথ ধরে একটু একটু ; ৮. তুমি একটি পলাশ আমি একটু বাতাস যেন নিরালা ইন্দ্রনীল পাহাড়ে ; ৯. তোলপাড় তোলপাড় মনের কথা খুঁজে পাই না তারে ; ১০. দোল দোল চতুর্দোলায় চড়ে আহা রূপবতী চলেছে ওই ; ১১. পান্না হীরা চুনি তো নয় তারার মালা ; ১২. বেশ তো না হয় সপ্তঋষির অস্তে যাওয়ার প্রহরে হাওয়ার :
১৩. মধুমতী যায় বয়ে যায় কবির তুলিতে আঁকা ; ১৪. মোর মালঞ্চে বসন্ত নাই রে নাই ফাগুন ফিরিয়া গেল তাই ; ১৫. মোর সপ্তসুরের সপ্তডিঙ্গা তীর খোঁজে ; ১৬. ম্যাগ্নোলিয়া আর ক্যামেলিয়া ফুল যার খোঁপায় আজ দুলছে লাজে ; ১৭. যাক যাক দিন যাক রাত চলে যাক একবার ভুল ভেঙে যাক ; ১৮. শরম রাঙা পরম প্রিয়া, সবুজ বনের সবুজ টিয়া ; ১৯. সোনার নামে নাম দিল কে সুন্দরী, রূপের গুণে রূপ হয়েছে অপ্সরী ; ২০. ওগো আমার কোকিল কালো মেয়ে, আবার এলে এ কোন সুরে গান শোনাতে ; ২১. তুমি কত দূর কোথায় বসে মালা গেঁথে যাও মন হরষে ; ২২. চম্পা কলি গো কত নামে ডেকেছি তোমায়।
এর বাইরেও তাঁদের গাওয়া আরও -আরও অসংখ্য গান রয়েছে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

All reactions:
13Shahjahan Siraj Mithu and 12 others
Leave a Reply